বিরোধের কারণে বন্ধুই গলা কেটে হত্যা করে আরেক বন্ধু শাওনকে। হত্যার পর ঠান্ডা মাথায় মানুষের ভিড়ে মরদেহ দেখতে এসে রক্ষা হয়নি তার।
ভাড়াটিয়ারা জানান, নিউমার্কেটে একটি দোকানে কাজ করতেন শাওন। রুমটিতে একাই থাকতেন তিনি। তবে বন্ধুদের আসা-যাওয়া ছিল তার বাসায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচরে রনি মার্কেট এলাকার একটি বহুতল ভবনের নিচ তলায় দরজা ভেঙে শাওনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাওনের মৃত্যুতে ছুটে আসেন স্বজনরা।
ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে তারা বলেন, রাতে তার ঘরে মনে হয় কেই এসেছেন। রক্ত দেখা গেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। তখন ওই ঘাতক এখানে দেখতে এসেছে, শাওন মারা গেছে কিনা। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। ওই ঘাতকের ফাঁসি চাই।
হত্যার খবর পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসে। ভিড়ের মধ্যে রেশাদ নামে সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে খুন করে মরদেহ ফেলে যাওয়ার কথা। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।
ডিএমপি লালবাগ জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, সে যে এই খুনটা করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা একে অপরের পরিচিত। তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকতে পারে। সেটা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।