একই কলেজে পড়ার সূত্রে দুজনের মাঝে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বিয়ের আধা ঘণ্টা পর শ্বশুরবাড়িতে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নববধূর লাশ।
ঘটনাটি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দারপোল গ্রামের। নিহত মেঘলা (১৬) ওই গ্রামের ফজলু শেখের মেয়ে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে শ্বশুরবাড়ির পাশে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মেঘলাকে দেখতে পায় স্থানীয়রা।
এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে মেয়েটির পরিবার। এ ঘটনায় বর সাব্বির ও তার বাবা-মাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
মেয়ের ছোট চাচা শহিদুল শেখ বলেন, ‘একই এলাকার চঞ্চল শিকদারের ছেলের সাথে মেঘলার পূর্ব থেকে সম্পর্ক ছিল। সে হিসাবে গত ০৭ তারিখে বাড়ি থেকে দুজনে পালিয়ে মাগুরা সদরে গিয়ে বিয়ে করে। এর পর আমরা মেঘলাকে বাড়ি ফেরত আনার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার দেই। এ অবস্থায় স্থানীয় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য শরিফুল শিকদার বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঐ ইউপি সদস্য মেয়ের বাবাকে ডেকে নিয়ে বলে তোমার মেয়ের তো হাসিমুখে বিয়ে দিলাম। এর পর মেয়ের বাবা বাড়ি এসে সবাইকে বিয়ের ব্যাপারে জানায়।‘
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের ঘটনা জানাজানির আধা ঘণ্টা পরে ছেলের বাড়ি থেকে কান্নার শব্দে আমরা সবাই ছেলের বাড়িতে ছুটে যাই। বাড়ির পাশে আমগাছে আমাদের মেঘলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক ছেলেকে ধরলে সে কিছু জানে না বলে দাবি করে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকদেব রায় বলেন, রাতে খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে, তার বাবা ও মাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লাশটি মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা