বর্ণিল আয়োজনে পর্দা উঠল বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি গেমসের উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস’ আয়োজন করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।
এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর মাগরিবের নামাজের বিরতি দেয়া হয়। বিরতির পর ৬টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আবার অনুষ্ঠান শুরু হয়।
৬টা ৫৩ মিনিটে দেশীয় খেলাধুলার সাফল্যগাথা নিয়ে অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শন করা হয়। এরপর ৬টা ৫৭ মিনিটে অংশগ্রহণকারী দলগুলো মার্চপাস্টে অংশ নেন। মার্চপাস্ট শেষে অ্যাথলেটদের শপথ গ্রহণ করান দেশসেরা আর্চার রোমান সানা ও সাবেক অ্যাথলেট কামরুন নাহার হিরু।
৭টা ১৩ মিনিটে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেটদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭টা ১৪ মিনিটে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। ৭টা ১৮ মিনিটে বক্তব্য দেন বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
৭টা ২৫ মিনিটে বক্তব্য দেন গেমসের সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
এরপর ৭টা ৪১ মিনিটে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
৭টা ৫০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মশাল প্রজ্বলন করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান এবং সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।
এরপর শুরু হয় পাইরো টেকনিকস, ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শো।
এশার নামাজের বিরতির পর শুরু হয় স্টেজ শো।
গেমসটি গত বছরের এপ্রিলে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে তা হতে পারেনি। এবারও রয়েছে করোনা আতঙ্ক। এর মাঝেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি নজর রেখে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে শুরু হলো দেশের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া উৎসব।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত । দেশব্যাপী সাতটি জেলার ২৯টি ভেন্যুর এই ক্রীড়াযজ্ঞে ৩১ ডিসিপ্লিনের ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ ১২৭১টি পদকের জন্য লড়বেন। এর মধ্যে সোনা ও রৗপ্য পদক রয়েছে ৩৭৮টি।
এর আগে বুধবার (৩১ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিস্থলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্বলন করেন বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
গেমস আয়োজনে বাজেট ধরা হয়েছিল ৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।