নরসিংদীর মনোহরদীতে শ্বশুর এর খাটের নিচ হতে পারভীন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে উপজেলার চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পারভীনের স্বামী মো. আসিফ পলাতক রয়েছেন। পারভিন একই উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খালিয়াবাইদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
নিহতের ভাই স্বপন মিয়া জানান, ১০ মাস আগে মুন্সিপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে আসিফের সঙ্গে পারভীনের বিয়ে হয়। আসিফ নরসিংদীর একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের চাকরী করতো। বিয়ের পর করোনাকালীন সময়ে তার চাকরী চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তারা আমাদের বাড়ীতেই থাকতে থাকে। গত ২২ দিন আগে পারভীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়ীতে তুলে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার কয়েকদিন পরই পারভীনের সকল স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেয় আসিফ। গয়না বিক্রির টাকা দিয়ে সে নিয়মিত মাদক সেবন করত। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বদ্বের সৃষ্টি হয়। পারভীন ফোনে বিষয়গুলো আমাদেরকে জানায়। গত দুইদিন ধরে পারভীনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সন্ধায় বাবা-মাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে পারভীনকে খুঁজতে যাই। আশপাশের বাড়ীসহ বিভিন্নস্থানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে পাশের বাড়ী থেকে একজন ফোনে জানান পারভীনের লাশ পাওয়া গেছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে শ্বশুরের খাটের নিচে তার লাশ দেখতে পাই। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মমিনুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।