নরসিংদীর বেলাব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমশের জামান ভূইয়া রিটন কর্তৃক ভাইস চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদার গত নভেম্বর মাসের মাসিক সম্মানি ভাতা, ভ্রমন ভাতা ও আপ্যায়ন ভাতা বাবদ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫শত টাকা সোনালী ব্যাংক বেলাব শাখা থেকে উত্তোলন করে সমুদয় টাকা নিজে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সকালে নরসিংদী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উন্নয়ন ও আইসিটি খান মোহাম্মদ নুরুল আহম্মেদ এর উপস্থিতিতে ৫ সদস্য কমিটির সদস্যগণ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেন। এ সময় নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কাউসার আজিজ, বেলাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা শরমীন ও বেলাব উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, অভিযোগকারীগণ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭/০১/২০ইং তারিখে এবং ৫/৩/২০ইং বেলাব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মনিরুজ্জামান ভূইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা স্বাক্ষরিত নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে দাখিলকৃত এক লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বেলাব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমশের জামান ভূইয়া রিটন সোনালী ব্যাংক বেলাব বাজার শাখা থেকে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের গত নভেম্বর মাসের সম্মানী ভাতা, ভ্রমনভাতা ও আপ্যায়ন ভাতা তাদের অগোচরে ৫টি চেক এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান তার নিজ স্বাক্ষরে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫শত টাকা উত্তোলন সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ব্যাংকে তাদের টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমশের জামান ভূইয়া রিটন আপনাদের সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমশের জামান ভূইয়া রিটনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ভূইয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা কুলিয়ারচরস্থ কান্দাইল শাহ্ এর মাজারের উরশ উপলক্ষে খরচ করার জন্য এ টাকাগুলো তাদের স্ব-ইচ্ছায় আমাকে প্রদান করেন। বর্তমানে আমি রাজনীতির প্রতি হিংসার শিকার বলে মনে করছি। তবে অভিযোগকারীগণ জানান, চেয়ারম্যানের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিষয়টি এলাকাবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।