ময়মনসিংহের-গফরগাও রেলপথে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে গত দুই সপ্তাহে ৩ জনের মৃত্যু হত্যা নাকি দুঘটনা এ নিয়ে ট্রেন যাত্রী ও এলাকাবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকলেও এর তোয়াক্কাই করছেনা যাত্রীরা। এদিকে রেলওয়ে পুলিশের নেই কোন তৎপরতা।
স্থানীয়দের দাবি ঘটনাগুলো হত্যা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত হওয়া উচিত। শুক্রবার দুপুরে মশাখালী স্টেশনের ২শ’ গজ দক্ষিণে স্টেশনের আউটার সিগন্যালের দক্ষিণে রেল লাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের দুই টুকরো লাশ উদ্ধার করে গফরগাঁও রেলওয়ের ফাঁড়ির পুলিশ।

এর আগে ২৫শে সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া এনামুল (১২) নামে এক কিশোরের রেলে কাটা ছিন্ন ভিন্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একি কায়দায় ২২ সেপ্টেম্বর রাতে গফরগাঁও রেল স্টেশন এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবককে মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন, এর আগেও ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে ছিনতাইকারীরা একের পর এক হত্যা করলেও একটি হত্যারও মামলা হয়নি। দেওয়াগঞ্জ উপজেলার আফজার হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, আমরা জয়দেবপুর থেকে ট্রেনের ছাদে উঠি।
এরপর ট্রেনের ছাদের মধ্যেই একটি চক্র আমাদের কাছে টিকেট এবং টাকা চায়। যারা টাকা দেয় তাদের কোন সমস্যা হয়না। আর যারা টাকা না দিতে পারে তাদের উপর শুরু করে নির্যাতন। এসব বিষয়ে মশাখালী স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার মনির হোসেন জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়।
এরপর জিআরপি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডি্ক্যালের মর্গে প্রেরণ করে।
গফরগাঁও রেলওয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হিরু জানান, সম্ভবত দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবকটির মৃত্যু হয়েছে।
২২-২৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনা ব্যপারে তিনি জানান, আমরা যাত্রীদের বারবার ছাদে না উঠার জন্য চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি এবং নিষেধ করছি। কিন্তু কিছুতেই থামাতে পারছিনা যাত্রীদের যাতায়াত। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। ৩টি মৃত্যুর ঘটনারই তদন্ত চলছে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।