1. mahbubur2527@gmail.com : Mahbubur Rahman Sohel : Mahbubur Rahman Sohel
  2. saidur.yc@gmail.com : SAIDUR RAHMAN : SAIDUR RAHMAN
  3. jannatulakhi1123@gmail.com : Jannatul akhi Akhi : Jannatul akhi Akhi
  4. msibd24@gmail.com : Fazlul Karim : Fazlul Karim
  5. Mofazzalhossain8@gmail.com : Mofazzal Hossain : Mofazzal Hossain
  6. saidur.yc@hotmail.com : Saidur Rahman : SAIDUR RAHMAN
  7. jim42087070@gmail.com : Lokman Hossain : Lokman Hossain
  8. galib.ip2@gmail.com : Al Galib : Al Galib
  9. sikhanphd3@gmail.com : Shafiqul Islam : Shafiqul Islam
আজ ২৪শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সময় দুপুর ১২:৫৯
শিরোনাম
মনোহরদী ও বেলাবতে কোরআন শরিফ বিতরণ করেন কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা কাজী মাজহারুল ইসলাম চুনারুঘাটে ঘর থেকে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার। মনোহরদীর ১৭নং চন্দনবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন, সভাপতি- হিরন মনোহরদী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা মর্টারশেল কেঁটে গুপ্তধন বের করার চেষ্টা, পা হারালো যুবক মনোহরদী উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মাইগ্রেন থেকে প্রাণ গেল এক মডেলের! রাজাপুরে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিং ও আনন্দ র‍্যালির আয়োজন। নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠির নলছিটিতে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : সোমবার, আগস্ট ১৭, ২০২০,
  • 429 দেখুন

নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও অশালীন আচরণের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।

রোববার (১৬ আগস্ট) রোববার দুপুরে ১০ জন ইউপি সদস্য ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে অনাস্থা প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী তাদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।

ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন,সুবিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান সিকদার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়নম ও দুর্নীতি করে আসছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ইউপি সদস্যদের ভয় দেখিয়ে প্রকল্প বানিয়ে রেজুলেশনে সই নিতেন।

অথচ প্রকল্পের কোন কাজ না করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের পুরনো ভবন ভাড়া দিয়ে তিন লাখ টাকা নিজের পকেটে নিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে সদস্য পদ থেকে বরখাস্তের ষড়যন্ত্র, হামলা, মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিতো চেয়ারম্যান।

অবশেষে পরিষদের সকল সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির রুখে দিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন। জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিতে আসেন প্যানেল চেয়ারম্যান মানছুর খান, ফিরোজ আলম সোহাগ, ইউপি সদস্য আমানুর রহমান সুমন, শাহ আলম হাওলাদার, রেজাউর রহমান রেজা, আবদুল জলিল মৃধা, মিজানুর রহমান, লাভলী বেগম ও রাফিকা বেগম।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় ইছাপাশাম মুসল্লিবাড়ির দরজায় আয়রণ সেতু নির্মাণের জন্য ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কোন কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সিকদার।

সুবিদপুরের নাপিত বাড়ির সেতু থেকে হাবিব হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত ইট সোলিং রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকা, পশ্চিম গোপালপুর খলিফা বাড়ি থেকে কদম আলীর বাড়ি পর্যন্ত ইট সোলিং রাস্তার বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা, এলজিএসপির বিবিজি প্রকল্পের আওতায় ৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা পুরোটাই কাজ না করে আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান।

তিনি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের এলজিএসপির স্যানিটেশন প্রকল্পের এক লাখ টাকা, সেলাই মেশিন ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল বিতরণের এক লাখ ৬০ হাজার টাকাও আত্মসাক করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্সের টাকা, জন্ম ও মৃত্যু সনদের টাকা, বিজিডি কার্ডের চাল পরিবহণের খরচের টাকা, হাট বাজার থেকে আদায় করা টাকা ব্যাংকে পুরোটা জমা না দিয়ে আত্মসাত করেন।

এছাড়াও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির লেবারদের টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে শালিস মিমাংসার নামে দুই পক্ষের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যর নাম ভাঙিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।

সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মানছুর খান বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি, চেয়ারম্যান আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি আসে। এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি। মানুষকে যে প্রতিশ্রæতি দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, কিছুই করতে পারিনি শুধু চেয়ারম্যানের দুর্নীতির কারণে।

নলছিটি উপজেলায় মন্নান চেয়ারম্যানের মতো দুর্নীতিবাজ আর কোন চেয়ারম্যান নেই। তাই তাঁর অপসারণ দাবি করছি। অভিযোগ অস্বাীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সিকদার বলেন, ইউপি সদস্যদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁরা অনাস্থা দিয়েছে।

আমি কোন অনৈতিক কাজ করি না। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ইউপি সদস্যদের অভিযোগ পেয়েছি। এটা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://shadhinbangla16.com © All rights reserved © 2022

theme develop by shadhinbangla16.com
themesbazarshadinb16
bn Bengali
X